এসএসসি সাধারণ গণিত সিলেবাস প্রস্তুতি কীভাবে নেবে?
গণিত শুনলেই তোমরা অনেকে ভয় পেয়ে যাও। ব্যাপারটা স্বাভাবিক। অগণিত মানুষের মধ্যেই গণিতভীতি আছে! কিন্তু এসএসসি সাধারণ গণিত সিলেবাস জেনে-বুঝে প্রস্তুতি নিলে তুমিও পরীক্ষায় ভালো নাম্বার তুলতে পারবে। সেটা নিয়েই এবারের লেখা।
এসএসসি সাধারণ গণিত পরীক্ষার মানবণ্টন
পরীক্ষার অংশ | মান |
সৃজনশীল অংশ | ৭০ |
নৈর্ব্যক্তিক অংশ | ৩০ |
সৃজনশীল অংশ
সৃজনশীল অংশে ১১টি প্রশ্ন দেয়া হবে তোমাকে। এর মধ্যে উত্তর দিতে হবে ৭টির। প্রত্যেক উত্তরের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ।
নৈর্ব্যক্তিক অংশ
নৈর্ব্যক্তিক অংশের ৩০টি প্রশ্নের প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নাম্বার পাবে।
এসএসসি সাধারণ গণিত পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন আসে?
সৃজনশীল অংশ
- বীজগণিত: এ বিভাগ থেকে ৩টি প্রশ্ন আসবে। তোমাকে ২টি উত্তর দিতে হবে। এ বিভাগের অধ্যায়গুলো হলো ১, ২, ৩, ৪, ৫, ১১, ১২ ও ১৩।
- জ্যামিতি: এ বিভাগ থেকে ৩টি প্রশ্ন থাকবে। উত্তর দিতে হবে ২টির। এ বিভাগের অধ্যাগুলো হলো ৬, ৭, ৮, ১৪ ও ১৫।
- ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি: ৩টি প্রশ্নের মধ্যে ২টির উত্তর লিখতে হবে। অধ্যায়গুলো হলো ৯, ১০ ও ১৬।
- পরিসংখ্যান: ২টি প্রশ্ন থেকে ১টি উত্তর করতে হবে। এ বিভাগের একমাত্র অধ্যায় ১৭।
নৈর্ব্যক্তিক অংশ
পুরো বই থেকে মোট ৩০টি নৈর্বক্তিক প্রশ্ন থাকবে। তোমাকে সবগুলোর উত্তর দিতে হবে।
এসএসসি সাধারণ গণিত পরীক্ষার সময়বণ্টন
সাধারণ গণিত সৃজনশীল অংশের জন্য তুমি সময় পাবে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ ৭টি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য তুমি প্রায় ২১ মিনিট কয়েক সেকেন্ড করে সময় পাচ্ছো। তবে সাজেশন থাকবে, প্রতিটি উত্তরের জন্য গড়ে ২০ মিনিট করে সময় দিতে। তাহলে তোমার হাতে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় থাকে রিভিশন দিয়ে উত্তরগুলো যাচাই করার জন্য, যা কিন্তু খুব জরুরি।
আলাদাভাবে ৩০টি বহুনির্বাচনির জন্য ৩০ মিনিট সময় পাবে।
এসএসসি সাধারণ গণিত সিলেবাস প্রস্তুতি নেবার উপায়
তুমি যদি ক্লাস নাইনের স্টুডেন্ট হও, তাহলে –
- অধ্যায়ের শুরুতেই বেসিকগুলো আগে খুব ভালো করে শিখে নাও। বিশেষ করে সূত্র প্রথমেই মুখস্থ না করে আগে বোঝার চেষ্টা করো কেমন করে সূত্রগুলো এলো। তাহলে দেখবে সহজেই মনে থাকবে।
- প্রথমেই সহজ অঙ্ক দিয়ে শুরু করো। ধীরে ধীরে কঠিনে যাবে। আর সহজ বলে কোনো অঙ্ক কম প্রাকটিস করবে না। কারণ এগুলো থেকেই পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক আসে।
- জ্যামিতির অধ্যায়গুলো করার সময় বারবার চিত্র এঁকে করবে।
- ত্রিকোণমিতি চ্যাপ্টার পড়ার সময় সূত্র মনে রাখা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে বেসিক সূত্রগুলো থেকে অন্যান্য সূত্র কীভাবে এলো, তা বারবার প্রাকটিস করবে।
- প্রত্যেকটি অধ্যায় শেষ হলে তুমি কোনো সহায়ক বই থেকে সৃজনশীল ও এমসিকিউ প্রশ্ন প্রাকটিস করতে পারো।
ক্লাস টেনের স্টুডেন্ট হয়ে থাকলে –
- বিভিন্ন স্কুল ও বোর্ডে আসা প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করো।
- সময় ঠিক করে ৭টি সৃজনশীল লেখার অনুশীলন করে নাও।
- প্রতিটি অধ্যায় পড়ার সময় একই ধরনের অংক দাগিয়ে রাখো। তাহলে পরবর্তীতে প্রাকটিস করতে সুবিধা হবে।
- সময় ঠিক করে প্রচুর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সমাধান করার অভ্যাস গড়ে তোলো। তাহলে পরীক্ষার হলে সময় কম লাগবে।
- টেস্ট পেপার থেকে একটি করে প্রশ্ন বাসায় সমাধান করে ফেলতে পারো।
- টেস্ট পেপার সমাধান করার সময় যে অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে সময় বেশি লাগে, সে অধ্যায়গুলো ঘন ঘন প্র্যাকটিস করো।