যোজনী:
অণু গঠনের সময় কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের কোন পরমাণু যুক্ত হওয়ার সামর্থ্যকেই যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
আবার অন্যভাবে বলা যায়, কোন মৌলের একটি পরমাণু যতগুলো হাইড্রোজেন(H) অথবা তার সমান (যেমন:- ক্লোরিন(Cl), সোডিয়াম(Na) ইত্যাদি) অন্য মৌলের যত সংখ্যক পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে তাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
উদাহরণ: একটি সোডিয়াম (Na) পরমাণু এবং একটি ক্লোরিন (Cl) পরমাণুর সাথে মিলে NaCl
(সোডিয়াম ক্লোরাইড বা খাদ্য লবণ) গঠন করে বলে সোডিয়ামের যোজনীও ১।
ইলেকট্রনীয় ধারনায় যোজনী:
কোন যৌগ গঠনের সময় একটি পরমাণু বা মূলক অপর একটি পরমাণু বা মূলক থেকে যে কয়টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে বা প্রদান অথবা শেয়ার করে (সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ যৌগের ক্ষেত্রে) সেটাই তার যোজ্যতা বা যোজনী।
যেমন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড (CaCl2) লবণ গঠনের সময় ক্যালসিয়াম (Ca) তার শেষের ২ টি ইলেকট্রন দান করে তাই ক্যালসিয়ামের যোজনী ২ অন্যদিকে এই দানকৃত ২ টি ইলেকট্রন ২ টি ক্লোরিন গ্রহণ করে তাই ক্লোরিন এর যোজনী এক।
যোজ্যতা সবসময় পূর্ণসংখ্যার হয়, যোজ্যতা কখনো ভগ্নাংশ হয়না। নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলির অন্য মৌলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা নেই তাই এরা শূন্যযোজী। কয়েকটি মৌলের যোজ্যতা হল:
যৌগ | যুক্ত H পরমাণুর সংখ্যা | যোজ্যতা |
HCl | 1 | 1 |
H2O | 2 | 2 |
NH3 | 3 | 3 |
CH4 | 4 | 4 |