জীববিজ্ঞান বিষয়টি মানেই হলো জীব এবং জীবন নিয়ে আলোচনা। জীববিজ্ঞান বেশ প্রাচীন বিজ্ঞান। তবে তোমাদের অনেকের কাছেই জীববিজ্ঞান বিষয়টি কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। এর কারণে অনেকেই জীববিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং পরীক্ষায় নম্বর কম আসে। তোমার বই এর সবগুলো অধ্যায় যদি ঠিকমতো বুঝতে পারো এবং পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্নগুলো বুঝতে পারো, তাহলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর পাবে। জীববিজ্ঞানের প্রতিটি টপিকসকে আরো সহজ ও বোধগম্য করতে ‘শিখো’ নিয়ে এসেছে এসএসসি জীববিজ্ঞান কোর্স। এই অ্যানিমেশন ও তথ্যনির্ভর কোর্সের মাধ্যমে খুব সহজেই তুমি জীববিজ্ঞানের প্রতিটি অধ্যায় সম্পর্কে আরো বিস্তর জানতে পারবে, যা তোমাদের এস.এস.সি. পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল করতে সহায়তা করবে।
এসএসসি জীববিজ্ঞান পরীক্ষার মার্ক ডিস্ট্রিবিউশন কেমন হয়?
- জীববিজ্ঞান পরীক্ষা টোটাল ৭৫ মার্কের হবে।
- এই ৭৫ মার্কের পরীক্ষা দুই ধরনের প্রশ্নের আলোকে নেওয়া হয়।
- সৃজনশীল অংশে মোট ৮ টি সৃজনশীল প্রশ্ন পরীক্ষায় দেওয়া হবে। তোমাকে ৫ টির উত্তর লিখতে হবে।
- প্রত্যেক সৃজনশীল প্রশ্নের মার্ক ১০।
- সৃজনশীল প্রশ্নের টোটাল মার্ক ৫০।
- নৈর্বক্তিক অংশে ২৫টি নৈর্ব্যক্তিক বা এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে।
- প্রত্যেকটির মার্ক হবে ১।
- এই অংশের টোটাল মার্ক ২৫।
- ব্যবহারিক অংশের মার্ক ২৫।
এসএসসি জীববিজ্ঞান পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন আসে?
প্রশ্নের ধরণ | নম্বর |
সৃজনশীল অংশ | ৫০ |
বহুনির্বাচনি অংশ | ২৫ |
ব্যবহারিক অংশ | ২৫ |
মোট | ১০০ |
সময় নির্বাচন:
জীববিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সময় পাবে মোট তিন ঘন্টা। এর মধ্যে ২৫টি বহুনির্বাচনি অংশের জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে । বাকী থাকবে দুই ঘন্টা তিরিশ মিনিট। খেয়াল করো, এই একশ ত্রিশ মিনিটে তোামাকে ৫টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করতে হবে । প্রতি সৃজনশীলে জন্য তুমি তাহলে সময় পাবে- ১৫০/৫ = ৩০ অর্থাৎ ত্রিশ মিনিটের মতো। যদি প্রতিটা সৃজনশীল ২৫ মিনিট করে লিখো তাহলে ২ঘণ্টা ৫মিনিট সময় লাগবে, পরে বাকি ২৫ মিনিট রিভিশন দিতে পারবে।
কীভাবে এসএসসি জীববিজ্ঞান পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে?
তুমি যদি ক্লাস নাইনের স্টুডেন্ট হও তাহলে যেভাবে প্রস্তুতি নিবে-
- সিলেবাসের সবগুলো অধ্যায় ভালো মতো রিডিং পড়তে হবে বুঝে বুঝে।
- প্রত্যেকটি অধ্যায়ের বিষয়বস্তু, গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নাম তোমাকে ভালো মতো জানতে হবে।
- তুমি নিশ্চয়ই জেনে থাকবে যে জীববিজ্ঞানে চিত্র আঁকার মাধ্যমে অনেক ভালো মার্ক পাওয়া যায়। তাই নিয়মত চিত্র আঁকা অনুশীলন করতে হবে।
- শুধু যে চিত্র আঁকলেই যে হবে ব্যাপারটি সেরকম না। চিত্রের সাথে লেভেলিং, চিত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সুন্দরভাবে পরীক্ষায় খাতায় উপস্থাপন করতে হবে।
- বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগিয়ে দাগিয়ে পড়তে হবে, এমসিকিউ-তে ভালো মার্ক তোলার জন্য।
- প্রত্যেকটি অধ্যায় পড়া শেষ হলে তুমি কোনো সহায়ক বই থেকে সৃজনশীল ও এমসিকিউ প্রশ্ন পড়ে নিতে পার।
- তোমরা সকলেই জানো জীববিজ্ঞানে অ্যানিমেটেড ভিডিও পড়ালেখার ক্ষেত্রে কতটা সাহায্য করে। জীববিজ্ঞানে অনেক জটিল জটিল আলোচ্য বিষয় রয়েছে। এই ব্যাপারে পড়ার পাশাপাশি ‘শিখো’-র অ্যানিমেটেড ভিডিও তোমাকে অনেকটা সাহায্য করবে।
- ‘শিখো’-র এনিমেটেড ভিডিও দেখার মাধ্যমে জীববিজ্ঞানের অনেকগুলো বিষয়ের সাথে তোমরা বাস্তব জীবনের মিল খুঁজে পাবে ।
- সহায়ক হিসেবে ‘শিখো’-র জীববিজ্ঞান কোর্সটি তোমাদের প্রতিটি অধ্যায় ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। সুতরাং ‘শিখো’-র সাথে থাকলে তোমরা প্রয়োজনীয় গাইডলাইন পেয়ে যাবে ।
তুমি যদি ক্লাস টেনের স্টুডেন্ট হও তাহলে যেভাবে প্রস্তুতি নিবে-
- এক্ষেত্রে তুমি বিভিন্ন স্কুল ও বোর্ডে আসা প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারো।
- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫টি সৃজনশীল লেখার অনুশীলন করতে পারো।
- যখন টেস্ট পেপার বের হবে তখন তুমি প্রতিদিন টেস্ট পেপার থেকে একটি করে প্রশ্ন বাসায় সমাধান করে ফেলতে পারো।
- টেস্ট পেপার সমাধান করার সময় একটি বিষয় তুমি খেয়াল রাখবে, যেই অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো তোমার সমাধান করতে একটু সময় লাগে বা সমস্যা হয়, সেই অধ্যায়গুলো তোমাকে আবার ভালো মতো পড়তে হবে।
- আর অবশ্যই ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে । সেক্ষেত্রে ‘শিখো’-র ভিডিওগুলো আর তোমার করা নোটগুলো তোমাকে পরীক্ষার জন্য পুরোপুরি তৈরি হতে সহায়তা করবে ।
চালিয়ে যাও এসএসসি জীববিজ্ঞান পরীক্ষার প্রস্তুতি
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বইয়ের প্রত্যেকটি অধ্যায়ের পুরো অংশ ভালো মতো নিয়মিত সময় ধরে পড়তে হবে। প্রত্যেকটি অধ্যায়ের বিষয়বস্তু, বায়োলজিকাল টার্মিনোলজি, গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা, বৈজ্ঞানিক নাম ও বৈশিষ্ট্য, চিত্র আঁকা এবং তার সঠিক লেভেলিং এর প্রতি আরো গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৃজনশীল লেখার অনুশীলন করতে হবে। আর আগের বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করলে প্রশ্নের উত্তর করতে সুবিধা হবে।