গলন ও স্ফুটন

গলন ও স্ফুটন

গলন

তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন বস্তু যখন তরলে পরিণত হয় তখন এই প্রক্রিয়াকে গলন বলে। অর্থাৎ তাপমাত্রা স্থির রেখে পদার্থের কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হওয়াকে গলন বলে। দোকান থেকে আইসক্রিম কিনার সময় সেটা কঠিন অবস্থায় থাকে। কিছুক্ষণ পর সেই আইসক্রিম গলতে শুরু করে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আইসক্রিমটির কঠিন থেকে তরল হয়ে যাওয়াকেই গলন বলে। 

গলনের সাথে গলনাংকের একটা সম্পর্ক আছে। তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন বস্তু যখন তরলে পরিণত হয় তখন এই প্রক্রিয়াকে গলন বলে। আবার, যে তাপমাত্রায় 1 atm চাপে (বা বায়ুমন্ডলীয় চাপে) কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় তাকে গলনাংক বলে। অর্থাৎ

  • গলন – একটা প্রক্রিয়া বা System
  • গলনাংক – একটা তাপমাত্রা

১ বায়ুমন্ডলীয় চাপে বরফের গলনাঙ্ক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের খুব কাছে (৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট, ২৭৩.১৬ কেলভিন)।

স্ফুটন

তাপ প্রয়োগ করলে তরল বস্তু যখন গ্যাসীয় বস্তুতে পরিণত হয় তখন এই প্রক্রিয়াকে স্ফুটন বলে। কোন তরল পদার্থে তাপ প্রয়োগ করলে এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। বাড়তে বাড়তে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছালে তরল পদার্থটি ফুটতে শুরু করে এবং দ্রুত বাস্পে পরিণত হয়। তাপ প্রয়োগে তরল পদার্থের দ্রুত বাষ্পে পরিণত হওয়াকে স্ফুটন বলে। যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ তরল বাষ্পে পরিণত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে। একটি নির্দিষ্ট চাপে ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তরল পদার্থের সব অংশ থেকে দ্রুত বায়বীয় অবস্থায় পরিণত হওয়াকেই স্ফুটন বলে।

স্ফুটনের সাথে স্ফুটনাংকের একটা সম্পর্ক আছে। তাপ প্রয়োগ করলে তরল বস্তু যখন গ্যাসীয় বস্তুতে পরিণত হয় তখন এই প্রক্রিয়াকে স্ফুটন বলে। আবার, যে তাপমাত্রায় 1 atm চাপে (বা বায়ুমন্ডলীয় চাপে) তরল পদার্থ গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয় তাকে স্ফুটনাংক বলে। অর্থাৎ

  • স্ফুটন – একটা প্রক্রিয়া বা System
  • স্ফুটনাংক – একটা তাপমাত্রা 

স্বাভাবিক চাপে তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ককে স্বাভাবিক স্ফুটনাঙ্ক বলে। পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলতে আমরা স্বাভাবিক স্ফুটনাঙ্ককেই বুঝি। পানির স্বাভাবিক স্ফুটনাঙ্ক 373,15K বা 100°C।

শেয়ার:

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − five =