পর্যায় নির্ণয়ঃ
- নিয়ম-১: কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে প্রথমে দেখে নিতে হয় ইলেকট্রন সমূহ কতটি শক্তিস্তরে বিন্যস্ত। যতটি শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যস্ত আছে মৌলটি তত নম্বর পর্যায়ে আছে।
যেমন- সোডিয়াম (Na) এর পরমাণুতে ইলেকট্রন সমূহ ৩টি শক্তিস্তরে বিন্যস্ত।
[Na(11)=1s22s22p63s1]
সুতরাং সোডিয়াম (Na) মৌলটি পর্যায় সারণির তৃতীয় পর্যায়ে আছে।
গ্রুপ নির্ণয়ঃ
নিয়ম-১: মৌলটির পর্যায় জানার পর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকেই দেখতে হবে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে কতটি ইলেকট্রন রয়েছে।
- কোন মৌলের সর্ববহিস্থঃস্তরে যদি শুধু ‘s’ অরবিটাল থাকে, তবে ঐ ‘s’ অরবিটালে ১টি ইলেকট্রন থাকলে মৌলটি গ্রুপ ১ এ অবস্থিত।
- আবার কোন মৌলের সর্ববহিঃস্থস্তরে যদি শুধু ‘s’ অরবিটাল থাকে, এবং ঐ ‘s’ অরবিটালে ২টি ইলেকট্রন থাকলে মৌলটি গ্রুপ-2 এ অবস্থিত।
- সর্ববহিঃস্থস্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকলে মৌলটি গ্রুপ-18 এ অবস্থিত। এই নিয়মটি সকল পর্যায়ের মৌলের জন্য প্রযোজ্য। [তবে ব্যতিক্রম হলাে- হিলিয়াম (He)। এটার বহিঃস্থ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকলেও নিষ্ক্রিয় মৌল বলে গ্রুপ-18 তে সেটি স্থান পেয়েছে।]
নিয়ম-২: কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে যদি ‘s ও p’ অরবিটাল থাকে, তবে ঐ ‘s ও p’ অরবিটাল এর মোট ইলেকট্রন সংখ্যার সাথে 10 যোগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, সেই সংখ্যাই ঐ মৌলটির গ্রুপ সংখ্যা। যেমন- বোরন B) মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস 1s2 2s2 2p1। এখানে বোরনের বাইরের শেলে s অরবিটালে দুইটি ও p অরবিটালে ১টি ইলেকট্রন আছে। কাজেই বোরনের গ্রুপ নম্বর= ২+১+১০=১৩।
নিয়ম-৩: (৪র্থ থেকে ৭ম পর্যায়ের মৌলের জন্য) : ৪র্থ পর্যায় থেকে ৭ম পর্যায় পর্যন্ত যেসকল মৌলের ইলেকট্রন সর্ববহিস্থ স্তর ‘s’ অরবিটাল হয় এবং এর পূর্ববর্তী স্তরের |অর্থাৎ (n-1)d] d উপ-শক্তিস্তরে প্রবেশ করে তাদের ক্ষেত্রে d উপ-শক্তিস্তরে বিদ্যমান ইলেকট্রনের সংগে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যা যোগ করলে যোগফল যত হবে তত গ্রুপেই ঐ সৰ মৌলের অবস্থান।
যেমন:
Fe এর e– বিন্যাস,
Fe (26) = 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶ 4s²
Fe এর গ্রুপ নং = (2+6) = 8