microwave

মাইক্রোওয়েভ

মাইক্রোওয়েভ (Microwave) হলো হাই-ফ্রিক্যুয়েন্সি রেডিও ওয়েভ। 1 GHz বা তার চেয়ে বেশি ফ্রিক্যুয়েন্সিতে পাঠানাে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গকে বলা হয় মাইক্রোওয়েভ। এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 1mm থেকে 1m পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না। অধিক দূরত্বের যোগাযোগে মাইক্রোওয়েভ অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাইক্রোওয়েভ মাধ্যম ব্যবহার করে ডেটা, ছবি, শব্দ স্থানান্তর করা সম্ভব।

মাইক্রোওয়েভের বৈশিষ্ট্য:

  • মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো  ট্রান্সসিভার  নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
  • মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না।
  • মাইক্রোওয়েভ মাধ্যমে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে কোনো বাধা থাকলে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
  • মাইক্রোওয়েভের অ্যান্টেনা বড় কোনো  ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি  দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।

মাইক্রোওয়েভের প্রকারভেদ:

১। টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ

২। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ

টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ:

এই ধরনের প্রযুক্তিতে ভূপৃষ্টেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার দৃষ্টি রেখায় যোগাযোগ করে। কোনো বাধা না থাকলে ১ থেকে ৫০ মাইল পযর্ন্ত ডেটা চলাচল করতে পারে।

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ:

এক্ষেত্রে সিগন্যাল পাঠানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠে থাকে স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা এবং মহাশুণ্যে তাকে স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা বা ট্রান্সমিটারগুলো স্যাটেলাইটকে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল প্রেরণ করে। স্যাটেলাইটে পাঠানোর পর এই সংকেত অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে পড়ে। স্যাটেলাইটে অনেকগুলো ট্রান্সপন্ডার থাকে যা ক্ষীণ সংকেতকে অ্যামপ্লিফাই করে পৃথিবীর গ্রাহক যন্ত্রে পাঠায়। 

মাইক্রোওয়েভের সুবিধা:

  • ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি তাই এটি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ তথ্য একসাথে ট্রান্সমিট করা যায়।
  • পাহাড়ি ও দূরবর্তী অঞ্চলে যোগাযোগের জন্য এটি সুবিধাজনক।
  • কোনো প্রকার ক্যাবল ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।

মাইক্রোওয়েভের অসুবিধা:

  • মাইক্রোওয়েভ মাধ্যমে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে কোনো বাধা থাকলে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
  • মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না।
শেয়ার:

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − three =