Diffusion(ব্যাপন)

Diffusion- ব্যাপন

ব্যাপন 

উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে কোনো কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে ছড়িয়ে পড়া বা পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। অর্থাৎ দুটি অসমান ঘনত্বের গ্যাসের পরস্পরের মধ্যে মিশ্রণের পদ্ধতিকেই বলা হয় গ্যাসের ব্যাপন প্রণালি।

বদ্ধ ঘরের কোনো স্থানে যদি কোনো সুগন্ধযুক্ত বস্তু রাখা হয় তাহলে কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় যে ঘরের সর্বত্র সুগন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে সুগন্ধের তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এ সুগন্ধি কীভাবে এক স্থান হতে অন্যস্থানে চলে আসে? প্রকৃতপক্ষে সুগন্ধযুক্ত বস্তু একটি বোতল বা ছোট আয়তনের পাত্রে আবদ্ধ থাকায় এর ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে। তাই পাত্রে মুখ খোলার সাথে সাথে সুগন্ধির অণুসমূহ গ্যাসীয় অবস্থায় চারিদিকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে অর্থাৎ সুগন্ধির গ্যাসীয় অণুগুলো উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ গ্যাসের অণুগুলোর মধ্যে ব্যাপন ঘটে এবং কিছু অণু নাকে প্রবেশ করলে আমরা সেই গন্ধ অনুভব করতে পারি। এটিই হচ্ছে ব্যাপন প্রক্রিয়া।

ব্যাপনের শর্ত

১. পদার্থের অণুর ঘনত্ব: যে পদার্থের ব্যাপন ঘটবে সে পদার্থের অণুর ঘনত্ব বেশি থাকলে ব্যাপন হার বেশি হবে, অণুর ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার কম হবে।

২. মাধ্যমের ঘনত্ব: যে মাধ্যমে ব্যাপন ঘটবে সে মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি হলে ব্যাপন হার কম হবে; মাধ্যমের ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার বেশি হবে।

শেয়ার:

Leave a Reply

Your email address will not be published.

two + eleven =